Monday, November 27, 2017

খাবারে অ্যালার্জি

অ্যালার্জি থাকলে কেবল বেগুন, চিংড়ি বা গরুর মাংস বাদ—এই ধারণাও ভুল। কেননা একেজনের একেক ধরনের খাবারে অ্যালার্জি থাকে-
কারও দুধ খেলে পেট খারাপ হয়ে যায়। কারও বেগুনে মুখ চুলকায়। ডিম খেয়ে পেট ব্যথা শুরু হয় কারও কারও। এগুলো ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি। অ্যালার্জি থাকলে কেবল বেগুন, চিংড়ি বা গরুর মাংস বাদ—এই ধারণাও ভুল। কেননা একেজনের একেক ধরনের খাবারে অ্যালার্জি থাকে।
* দুধ: বিশেষ করে শিশুদের দুধে অ্যালার্জি বেশি হয়। একে বলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। দুধে যে ল্যাকটোজ নামের উপাদান থাকে তা হজম করার উৎসেচকে সমস্যা থাকে বলেই এমন হয়।
* শস্য: যব, ভুট্টা, ওট, ময়দা ইত্যাদি খাবারে গ্লুটেন থাকে, আর অনেকেরই গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে। এ ছাড়া সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত রোগীরা গ্লুটেন খেতে পারেন না।
* ডিম: ডিমে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। ডিমের আমিষ অংশ খেলে অনেকের প্রতিক্রিয়া হয়, চোখ লাল হতে পারে, ত্বকে চুলকানি হতে পারে। খুব ছোট শিশুদের ডিম না দেওয়াই ভালো।
* মাছ: সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, ইলিশ, স্কুইড ইত্যাদিতে অ্যালার্জি হয় বেশি। সবারই চিংড়ি বা ইলিশ খাওয়া নিষেধ তা নয়। যাদের এসব খাবার খেলে প্রতিক্রিয়া হয় শুধু তাঁরাই বাদ দেবেন।
* বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারেও অনেকের অ্যালার্জি হয়। এগুলোও আমিষজাতীয় খাবার। তাই ইমিউন সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে বেশি।
কীভাবে বুঝবেন অ্যালার্জি?
যদি একই ধরনের খাবার খেয়ে আপনার ত্বক ও মুখ জিবে চুলকানি, র‍্যাশ, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, শুকনো কাশি, পেট কামড়ানো বা ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি দেখা দেয় তবে বুঝবেন ওই খাবারে আপনার অ্যালার্জি আছে। অনেক সময় খুব তীব্র অ্যালার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। সাধারণত পরিবারেও অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে।
কী করবেন?
সহজ উপায় হলো ওই খাবারটি এড়িয়ে চলা। বাড়িতে তা সহজ, কিন্তু রেস্তোরাঁয় বা কেনা অনেক খাবারে এই উপাদান লুকিয়ে থাকতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে অ্যান্টিহিস্টামিন খেতে পারেন। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো

সঠিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ পরিমাপ পদ্ধতি

আসুন জেনে নিই কীভাবে সঠিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ পরিমাপ করা যায়-

শুধু রক্তচাপ মাপার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। হোম মনিটরিং বা বাড়িতে রক্তচাপ মাপার অভ্যাসকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন উৎসাহিতই করছে। এতে অনেক না জানা উচ্চ রক্তচাপের রোগীর রক্তচাপ ধরা পড়ে। তা ছাড়া যাঁরা রক্তচাপের ওষুধ খান, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও যাঁদের রক্তচাপ ওঠানামা করে, তাঁদের জন্য এই তদারকি বেশ উপকার বয়ে আনে। আসুন, জেনে নিই কীভাবে সঠিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ পরিমাপ করা যায়।

* রক্তচাপ মাপতে মনিটরযুক্ত যন্ত্রের চেয়ে সাধারণ স্ফিগনোম্যানোমিটারই ভালো। মনিটরযুক্ত যন্ত্র হলে ভালো কোম্পানির নিখুঁত যন্ত্র নিন। বছরে একবার যন্ত্রটি পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।

*চা-কফি পান করার পর, ব্যায়ামের পর, খাদ্যগ্রহণ বা ধূমপান করার পর বা খুব অস্থিরতার সময় রক্তচাপ না মাপাই ভালো।

*একই সময়ে রক্তচাপ দেখা ভালো, বিশেষ করে যদি রক্তচাপের ওঠানামার সমস্যা থাকে। যেমন: সকাল ১০টা ও রাত ৮টা—এমন দুটো সময় ঠিক করে নিলেন।

*রক্তচাপ মাপার আগে শান্ত হয়ে ৫-১০ মিনিট বসুন। ঢিলে হাতের বা হাফ হাতা জামা পরুন। হাতটি টেবিলের ওপর বিছিয়ে দিন এমনভাবে যেন তা হার্টের লেভেলে থাকে। কাফটা ঠিক করে বাঁধতে হবে। বেশি ঢিলে বা টাইট হবে না। শিশু ও বেশি স্থূল ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কাফ লাগে। স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রামটা ঠিক জায়গায় বসাতে হবে।

*অস্বাভাবিক রক্তচাপ পাওয়া গেলে আধ ঘণ্টা পর আবার মাপুন। অস্থির বা উদ্বিগ্ন হবেন না। সিস্টোলিক ১৮০ ও ডায়াস্টোলিক ১২০-এর ওপর আবারও পেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন বা হাসপাতালে যান। এ ছাড়া রক্তচাপ একটু কম-বেশি হলেও নিজে নিজে ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করবেন না বা ওষুধ বন্ধ করে দেবেন না।

*প্রতিদিন বা বারবার রক্তচাপ মাপার দরকার নেই। এতে অযথা উদ্বেগ বাড়বে। মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, দম আটকে আসা ইত্যাদি সমস্যা হলে দেখতে পারেন। কোনো ওষুধ নতুন শুরু করার বা পরিবর্তন করার পরের দুই সপ্তাহে কয়েকবার মাপা উচিত।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো

কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায় | কবির সুমন

কতটা পথ পেরোলে- কবির সুমন
অনুবাদঃ বব ডিলানের Blow-in In The Wind

কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়
কতটা পথ পেরোলে পাখি জিড়োবে তার ডানা
কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায়,
প্রশ্ন গুলো সহজ
আর উত্তরও তো জানা ।।

কত বছর পাহাড় বাঁচে ভেঙে যাবার আগে
কত বছর মানুষ বাঁচে পায়ে শেকল পরে ।

কবার তুমি অন্ধ সেজে ফাঁকা অনুরাগে
কবার তুমি অন্ধ সেজে ফাঁকা অনুরাগে
বলবে তুমি দেখছিলেনা তেমন ভালো করে,

কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়
কতটা পথ পেরোলে পাখি জিড়োবে তার ডানা
কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায়
প্রশ্ন গুলো সহজ
আর উত্তরও তো জানা ।।

কত হাজার পারের পর আকাশ দেখা যাবে
কতটা কান পাতলে তবে কান্না শোনা যাবে ।

কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে
কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে
বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে,

কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়
কতটা পথ পেরোলে পাখি জিড়োবে তার ডানা
কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায়
প্রশ্ন গুলো সহজ
আর উত্তরও তো জানা ।।

Friday, November 24, 2017

মানুষ ধরো মানুষ ভজ | বারী সিদ্দিকী | Manush Dhoro Manush Bhojo | Bari Siddiqui

মানুষ ধরো মানুষ ভজ
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
Album: মাটির দেহ

মানুষ ধরো মানুষ ভজ শোন বলিরে পাগল মন।
মানুষের ভিতরে মানুষ করিতেছে বিরাজন।

মানুষ কি আর এমনি বটে যার চরণে জগৎ লুটে
এই না পঞ্চভুতের ঘাটে খেলিতেছে নিরঞ্জন..

চৌদ্দতালার উপরে দালান তার ভিতরে ফুলের বাগান।
লাইলী আর মজনু দেওয়ান সুখেই করেছে আসন।।

দুই ধারে দুই কঠরা হায়াৎ মউত মাঝখানে ভরা
সময় থাকতে খুঁজরে তোরা নিকটেতে কাল সময়.

সোনার পুরী আন্ধার করে যেদিন পাখি যাবে উড়ে।
শূন্য খাঁচা থাকবে পড়ে কে করবে আর তার যতন।।

তালাশে খালাশ মেলে তালাশ করো রংমহলে
উঠিয়া হাবলঙের পুলে চেয়ে থাকো সর্বক্ষন..

দেখিবে হাবলঙের পুলে দুই দিকেতে অগ্নি জ্বলে
ভেবে রশীদ উদ্দিন বলে চমকিছে স্বর্ণের মতন।

মানুষ ধরো মানুষ ভজ শোন বলিরে পাগল মন
মানুষ ধরো মানুষ ভজ শোন বলিরে পাগল মন।।

নষ্ট জীবন | বারী সিদ্দিকী | Nosto Jibon | Bari Siddiqui

নষ্ট জীবন
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
Album: মাটির দেহ

নষ্ট জীবন দিয়ে
কি আর আমি করব,
জীবন যদি বদল করা যেত,
ভাল জীবন হত
আমার ভাল জীবন হত।

ও মাতাল হয়ে থাকি যদি
ভুলতে পারি জ্বালা,
ক্ষনিক পরে দুঃখ বাড়ে
ভাঙ্গে রঙের মেলা।
দুঃখ ফিরত দিয়ে যদি
সুখ পাওয়া যেত,
সুখের জীবন হত
আমার সুখের জীবন হত।

ও নদীর কাছে গিয়ে যদি
বাধি নতুন ঘর,
সব কিছু ভেঙ্গে দেয় যে
কাল বৈশাখীর ঝড়।
আঁধার ফেরত দিয়ে যদি
চন্দ্র কেনা যেত,
পাপের জীবন যেত
আমার পাপের জীবন যেত।

নষ্ট জীবন দিয়ে
কি আর আমি করবো,
জীবন যদি বদল করা যেত,
ভালো জীবন হত
আমার ভালো জীবন হত।
ভালো জীবন হত
আমার ভালো জীবন হত ।।

আমার মন্দ স্বভাব | বারী সিদ্দিকী | Amar Mondo Shovav | Bari Siddiqui

আমার মন্দ স্বভাব
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
Album: মাটির দেহ

আমার মন্দ স্বভাব জেনেও তুমি
কেনো চাইলে আমারে।
এত ভালো হয় কি মানুষ
নিজের ক্ষতি করে।

আমি তো ভুলে থাকি আমারও রঙ্গে।
তবু তুমি কেনো থাকো
এই মানুষের সঙ্গে।
অনাদরে থেকেও তুমি
রাখো আমায় যতন করে।
এত ভালো হয় কি মানুষ
নিজের ক্ষতি করে।

আমি তো পারি শুধু যন্ত্রণা দিতে,
তবু তুমি আশা করো ভালো কিছু পেতে,
অবহেলা পেয়েও তুমি
কেনো চাও যে আপন করে।
এত ভালো হয় কি মানুষ
নিজের ক্ষতি করে।

আমার মন্দ স্বভাব জেনেও তুমি
কেনো চাইলে আমারে।
এত ভালো হয় কি মানুষ
নিজের ক্ষতি করে।

আমার গায়ে যত দুঃখ সয় | বারী সিদ্দিকী | Amar Gaye Joto Dukkho | Bari Siddiqui

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
Album: মাটির দেহ

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়ারে কর তোমার মনে যাহা লয়..
বন্ধুয়ারে কর তোমার মনে যাহা লয়..

নিঠুর বন্ধুরে..
বলেছিলে আমার হবে
মন দিয়াছি এই ভেবে
সাক্ষী কেউ ছিলোনা সে সময়..
সাক্ষী শুধু চন্দ্র তারা
একদিন তুমি পড়বে ধরা রে বন্ধু,
ত্রিভুবনের বিচার যেদিন হয়
বন্ধুয়ারে ...

নিঠুর বন্ধুরে..
দুঃখ দিয়া হিয়ার ভিতর
একদিনও না নিলে খবর
এইকি তোমার প্রেমের পরিচয়..
মিছামিছি আশা দিয়া
কেনো বা প্রেম শিখাইলা রে বন্ধু,
দূরে থাকা উচিত কি আর হয়
বন্ধুয়ারে ...

নিঠুর বন্ধুরে..
বিচ্ছেদের বাজারে গিয়া
তোমার প্রেম বিকিয়ে দিয়া
করবোনা প্রেম আর যদি কেউ কয়..
উকিলের হয়েছে জানা
কেবলি চোরের কারখানা রে বন্ধু,
চোরের চোরের বেওয়াই আলা অয়
বন্ধুয়ারে ...

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়ারে করো তোমার মনে যাহা লয়।।

মনের দুঃখ মনে রইল রে | বারী সিদ্দিকী | Moner Dukkho Mone Roilo Re | Bari Siddiqui

মনের দুঃখ মনে রইল রে
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
Album: মাটির দেহ

মনের দুঃখ মনে রইল রে..
বুঝলি না রে সোনার চান,
চন্দ্র-সূর্য যত বড় আমার  দুঃখ  তার সমান।

প্রেমের দায়ে ঘর ছাড়িলাম
ছাড়লাম আপনজন..
মান কূল মান সব হাড়াইলাম
সাড় হইলো কান্দন..
যাইবার কোন জায়গা তো নাইরে...
নাই আর কোন মান সম্মান,
চন্দ্র সূর্য্য যত বড় আমার দুঃখ তার সমান ।।

দেশ বিদেশে ঘুরলাম কত
লইয়া ভরা যৌবন..
সারা অন্তর ছাই করিলাম
হইলো না কেউ আপন..
বলবার কোন মানুষতো নাইরে...
সইলাম কত অপমান,
চন্দ্র সূর্য্য যত বড় আমার দুঃখ তার সমান ।।

পূবালী বাতাসে | বারী সিদ্দিকী | PUBALI BATASHE | Bari Siddiqui

পূবালী বাতাসে
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
Album: মাটির দেহ

আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে..
পূবালী বাতাসে-
বাদাম দেইখ্যা, চাইয়া থাকি
আমার নি কেউ আসে রে..
আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে...
যেদিন হতে নতুন পানি
আসল বাড়ির ঘাটে,
অভাগিনীর মনে কত
শত কথা উঠে রে..
আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে...
কত আসে কত যায় রে
নায় নাইওরির নৌকা,
মায়ে ঝিয়ে বইনে বইনে
হইতেছে যে দেখা রে..
আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে...
আমি যে ছিলাম ভাই রে
বাপের গলায় ফাঁস,
আমারে যে দিয়া গেল
সীতা বনবাস রে..
আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে...
আমারে নিল না নাইওর
পানি হইতে তাজা,
দিনের পথ আধলে যাইতাম
রাস্তা হইত সোজা রে..
আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে...
ভাগ্য যাহার ভাল নাইওর
যাইবে আষাঢ় মাসে,
উকিলেরই হইবে নাইওর
কার্তিক মাসের শেষে রে..
আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে...

সোয়া চান পাখি । বারী সিদ্দিকী | Sua Chan Pakhi | Bari Siddiqui

সোয়া চান পাখি
শিল্পী: বারী সিদ্দিকী
Album: মাটির দেহ

সোয়া চান পাখি আমার..
সোয়া চান পাখি
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি ?
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি ?
তুমি আমি জনম ভরা
ছিলাম মাখামাখি..
তুমি আমি জনম ভরা
ছিলাম মাখামাখি..
আজি কেন হইলে নীরব ?
মেলে দুটি আঁখিরে পাখি..
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ না?
...(কান্না)
বুলবুলি আর তোঁতা ময়না কত নামে ডাকি
তোরে..
কত নামে ডাকি,
শিকল কেটে চলে গেলে
কারে লয়া থাকিরে পাখি..
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি?
তোমার আমার এই পিরিতি
চন্দ্র সূর্য্য সাক্ষী..
তোমার আমার এই পিরিতি
চন্দ্র সূর্য্য সাক্ষী..
হঠাৎ করে চলে গেলে
বুঝলাম না চালাকি পাখি..
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি ?
সোয়া চান আমার
সোয়া চান পাখি...
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি ?
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি ?

Thursday, November 9, 2017

কবীর সুমনঃ বাংলা গানের কিংবদন্তী

“যতবার তুমি জননী হয়েছো, ততবার আমি পিতা,
কত সন্তান জ্বালালো প্রেয়সী তোমার আমার চিতা।
বারবার আসি আমরা দু’জন, বারবার ফিরে যাই,
আবার আসবো, আবার বলবো- শুধু তোমাকেই চাই।”

‘জাতিস্মর’ গানের শেষের এই লাইনগুলো শুনেছেন নিশ্চয়। হ্যাঁ, বলছি দুই বাংলায় সমান বিখ্যাত সঙ্গীতকার কবীর সুমনের কথা। একই সাথে তিনি একজন গায়ক, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, কবি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী, টিভি উপস্থাপক ও নৈমিত্তিক অভিনেতা। অনেকে তাকে বাংলার বব ডিলানও বলে থাকেন। বাংলা গানে পশ্চিমা প্রভাবের সংমিশ্রণে এক নতুন ধাঁচের গান প্রবর্তনের জন্য বিখ্যাত তিনি।

সুমন চট্টোপাধ্যায়, ১৯৫০ সালের ১৬ মার্চ ওড়িষার কটকে এক বাঙালি হিন্দু ব্রাহ্মন পরিবারে জন্ম তার। বাবা সুধীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মা উমা চট্টোপাধ্যায়। বাবার কাছে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের তালিম নেয়া সেই ছোট্টবেলাতেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক শেষ করে ফ্রেঞ্চ ও জার্মান ভাষায় ডিপ্লোমা নেন সুমন। এরপর কিছুদিন অল ইন্ডিয়া রেডিও আর ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে কাজ করেন। সত্তরের মাঝামাঝি সুমন গুয়াতেমালায় চলে যান। এক জায়গায় বেশিদিন তিনি থিতু হননি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি স্থান বদল করেছেন। দেখেছেন বিভিন্ন ধাঁচের মানুষ, এসেছেন ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারার সংস্পর্শে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল অবধি তিনি ভয়েস অব জার্মানীর বাংলা বিভাগে কাজ করেন। ফ্রান্সে থাকাকালে সুমন বব ডিলানের গানের ছোঁয়ায় আসেন। সে ছিল তার জন্য এক যুগান্তকারী অভিজ্ঞতা।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত কবীর সুমন আমেরিকায় ছিলেন। সেখানে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগে কাজ করেছেন। এখানে কাজ করার সময় তিনি পিট সিগার, মায়া অ্যাঞ্জেলোসহ বেশ কিছু গুণী সাহিত্যিক ও সঙ্গীত বিষয়ক ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচিত হন। আশির দশকের মাঝামাঝিতে সুমন নিকারাগুয়ায় স্যান্ডিনিস্টা বিপ্লব নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে পড়েন। পিট সিগারের বদৌলতেই সুমনের পরিচয় হয় আর্নেস্টো কার্ডেনালের সাথে। একইসাথে ধর্মযাজক, কবি ও মুক্তিসংগ্রামী আর্নেস্টো কার্ডেনাল ছিলেন সেসময় নিকারাগুয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রী। কার্ডেনালের আমন্ত্রনেই সুমন ১৯৮৫ সালে নিকারাগুয়ায় যান। সেখানে গিয়ে ল্যাটিন আমেরিকার সঙ্গীত জগতে যে নতুন বিপ্লব চলছিল, তার সংস্পর্শে আসেন সুমন।

পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের আলাদা সংস্কৃতির ছোঁয়া আর আলাদা ধাঁচের সঙ্গীতের নির্যাস নিয়ে এসে সুমন যুক্ত করেন বাংলা গানে। ১৯৮৯ সালে জার্মান ইন্টারন্যাশনাল রেডিওর সাথে দ্বিতীয় চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করে সুমন কলকাতায় ফিরে আসেন। এরপর শুরু হয় তার দীর্ঘ প্রবাস সঞ্চিত সাঙ্গীতিক অভিজ্ঞতার সৃজনশীল স্ফূরণের উন্মেষ। তার নগর জীবন আর সামাজিক সচেতনতামূলক গানগুলো মানুষের বোধের জগতকে সজজেই নাড়া দেয়। কলকাতায় তিনি প্রথম যোগ দিয়েছিলেন ‘নাগরিক’ ব্যান্ডের সাথে। এই ব্যান্ডের সাথে বের হয় তার দু’টি অ্যালবাম- ‘অন্য কথা অন্য গান ১’ ও ‘অন্য কথা অন্য গান ২’।

১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’। বাংলা গানে নতুন মাত্রা যোগ করলো এই অ্যালবাম। এখনও দুই বাংলায় সমান আবেদনময়ী ‘তোমাকে চাই’সহ এই অ্যালবামের বাঁকি গানগুলো। ২০১০ সাল অবধি সুমনের কুড়িটির বেশি অ্যালবাম বের হয়েছে। তার গানগুলো বাংলা গানের ক্রমবিবর্তনে এক বিশাল প্রভাব রেখেছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’র মতো বেশ কিছু ব্যান্ড তার দ্বারা সম্যক প্রভাবিত হয়ে পথ চলেছে, চলছে। বলা যায়, আধুনিক বাংলা গানে একটা চিরস্থায়ী প্রভাব রাখা বিপ্লব ঘটে গেছে কবীর সুমনের হাত ধরে।

’৯০ এর পরে গায়ক ও গীতিকারদের একটা পুরো প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছেন কবীর সুমন। তার অনুসারীদের মধ্যে আছেন নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত, লোপামূদ্রা মিত্র, শ্রীকান্ত আচার্য্যসহ আরও অনেকেই। সুমনের বেশিরভাগ গানই শুধু পিয়ানো, গিটার বা সিনথেসাইজার এর একক তানে তৈরি। ২০১২ এ বের হয় সুমনের ‘৬৩ তে’। এরপর থেকে তিনি রাজনৈতিক ইস্যুতে বেশী নিমগ্ন হয়ে পড়েন। ২০০৯ এর মে থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রোজকার জীবনযাত্রা, অচেতন মনের চিন্তাধারা, নগর জীবনের বাস্তবতা আর এর সাথে জড়ানো অনুভূতিগুলো বিস্ময়কর এক দ্যুতি নিয়ে ফুটে ওঠে সুমনে গানে। অনেকে তাকে ডাকেন ‘নাগরিক কবিয়াল’। অনেকে তার গানকে বলেন ‘জীবনমুখী’। এত শত বিশেষণে আগ্রহ নেই সুমনের। তার কাছে তার গান হলো শুধুই আধুনিক বাংলা গান। তার গানের আরেক বৈশিষ্ট্য হলো প্রেম। প্রেমকে তিনি বরাবর উপস্থাপন করেছেন কোনো তরুণের সেই প্রথম শিহরণের সাথে, ফুটিয়ে তুলেছেন সেই চিরন্তন আকাঙ্খা, চিরকালের বাসনা, লজ্জাহীন আকুতি আর ব্যার্থতার দীর্ঘশ্বাস; যার ফলে তার গানে প্রেমানুভূতি হয়েছে আরও শক্তিশালী, আরও বাস্তব, আরও সুন্দর আর কালজয়ী। এই যেমন-

“নাগরিক ক্লান্তিতে তোমাকে চাই
এক ফোঁটা শান্তিতে তোমাকে চাই
বহুদূর হেঁটে এসে তোমাকে চাই
এ জীবন ভালোবেসে তোমাকে চাই…”

অথবা,

“রাস্তায় পড়ে আছে স্বপ্নের লাশ
বাতাসে লুকোনো তার দীর্ঘশ্বাস
খুন হওয়া স্বপ্নের চোখ ঢেকে দেওয়া চাই-
বিদায় পরিচিতা, আকাশ বিষণ্ন, তার কাছে যাই…”

কবীর সুমনের মন কেড়ে নেওয়া সব অ্যালবামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো তোমাকে চাই (১৯৯২), ইচ্ছে হলো (১৯৯৩), গানওয়ালা (১৯৯৪), ঘুমাও বাউন্ডুলে (১৯৯৫), চাইছি তোমার বন্ধুতা (১৯৯৬), জাতিস্মর (১৯৯৭), নিষিদ্ধ ইশতেহার (১৯৯৮), যাবো অচেনায় (২০০১), লালমোহনের লাশ (২০১০) ইত্যাদি।

সুমন চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে প্রখ্যাত বাংলাদেশি গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তাকে বিয়ে করার সময়ই সুমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম পরিবর্তন করে কবীর সুমন রাখেন। তার ভাষ্যমতে কবীর নামটি ‘বৈষ্ণব পদাবলি’র রচয়িতা মধ্যযুগীয় বাঙালি কবি শেখ কবীরের নাম থেকে নেয়া।

জাত প্রেমিক কবীর সুমন; জীবনে বহুবার প্রেমে পড়েছেন। প্রেমের ব্যাপারে তার চিন্তাধারা যেমন আধুনিক, তেমনই সত্য। একই সময়ে একাধিকজনের প্রেমে পড়াটা বিড়ম্বনাকর কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনি যদি একই সময়ে একাধিক বই পড়তে পারেন, তবে একাধিক নারীকে ভালোবাসতে পারবেন না কেন? যে নারীরা তাদের মন ও দেহ দিয়ে আমায় সমৃদ্ধ করেছেন, তাদের প্রতি আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা রয়েছে।” কতবার প্রেমে পড়েছেন জানতে চাইলে সুমন বলেন, “আমার একটা জেট প্লেন ভাড়া করা উচিৎ যাতে আকাশজুড়ে আমার প্রেমিকাদের নাম লিখে দিতে পারি।” “কখনো প্রেমে কোনো পাগলামো করেছেন কি?” জিজ্ঞাসা করলে জবাব দেন, “প্রেমে পড়াটাই তো একটা পাগলামো।” প্রেম তার কাছে সঙ্গীতের আলাদা আলাদা রাগের মতো। তিনি আরও বলেন, “আমার প্রিয়তমা শুধু আমার নাম ধরে সুমন, সুমন… বলে ডাকছে, এটা শুনতে শুনতেই আমি মরে যেতে পারি। অল্প বয়সে আমরা প্রেমে গন্তব্য খুঁজি, এখন আমি জানি যে মৃত্যুই শুধু সেই গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে।” কতটা সূক্ষ্ম, কতটা গভীর তার জীবনবোধ, শুধু এ কথাটি থেকেই বুঝা যায়।

নিজের আলাদা চিন্তাধারার জন্যে বহুবার আলোচিত- সমালোচিত হয়েছেন সুমন। কিন্তু একজন কবীর সুমনের মধ্যে দিয়েই গড়ে ওঠে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন- পৃথিবীর এক প্রান্তের সাথে আরেক প্রান্তের, গঙ্গার সাথে রাইনের। সমাজ ও সংস্কার থেমে যাওয়ার হাত থেকে নিস্কৃতি পায়। এখন তিনি ৬৭। আরও অনেকদিন বেঁচে থাকুন আধুনিক বাংলা গানের এই কিংবদন্তী। তার বন্ধনহীন চিন্তাধারা আর উচ্চতর জীবনবোধ নিয়ে আরও প্রভাবিত করতে থাকুন পরবর্তী প্রজন্মকে।

তথ্যসূত্র:

    ১) timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Dylan-Not-a-protest-poet-anymore-Kabir-Suman/articleshow/54852668.cms

    ২) en.wikipedia.org/wiki/Kabir_Suman

    ৩) timesofindia.indiatimes.com/entertainment/bengali/movies/news/Marriage-has-nothing-to-do-with-love-Kabir-Suman/articleshow/18402603.cms

  ৪) https://roar.media/bangla/art-culture/kabir-suman-legend-of-modern-bengali-music/

কোমর ব্যাথা কমানোর কার্যকর ব্যায়াম

আমাদের কোমরের সাথে পা সরাসরি যুক্ত থাকায়, পায়ের ব্যায়াম কোমর ব্যথার ঔষধ হতে পারে। তাই জেনে নিন কয়েকটি পায়ের ব্যায়ামঃ

১. কোমর ব্যাথার একটি কারণ হচ্ছে, পায়ের রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত। তাই প্রতিদিন ১০বার এই ব্যায়ামটি করুন। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটু সামান্য ভেঙ্গে পায়ের আঙুল দিয়ে মেঝে আঁকড়ে ধরুন।

২. পায়ের পেশী শক্ত করতে আঙুলের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ান। এই ভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে হেঁটে বিশ্রাম নিন। এই ব্যায়ামটি ৫ বার করে করুন। 

৩. এই ব্যায়ামটির জন্য চিৎ হয়ে শুয়ে গোড়ালি শূন্যে তুলে ১০ সেকেন্ড ধরে ক্লকওয়াইজ ঘুরাতে থাকুন। এরপর অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ ঘুরান। দিনে দু’বার এই ব্যায়াম করুন।

৪. পায়ের পেশী শক্তিশালী করার জন্য এই ব্যায়ামটিও করতে পারেন। কোন কলম বা পেন্সিল ১০ সেকেন্ডের জন্য পায়ের আঙ্গুল দিয়ে ধরে রাখুন। প্রতিবার বিশ্রাম নিয়ে ১০ বার এই ব্যায়াম করুন সপ্তাহে দু’ থেকে তিন বার। 

৫. এই ব্যায়ামটির জন্য মেঝেতে পা ছড়িয়ে বসুন। একটা রেসিস্ট্যান্ট ব্যান্ডের এক দিক হাতে ও অন্যদিক পায়ে আটকে নিন। এখন পা দিয়ে টেনে ব্যান্ডটিকে স্ট্রেচ করুন। এভাবে দশ বার পাঁচ সেকেন্ডের জন্য করুন। 

ব্যায়ামগুলো শুধু পায়ের জন্য না, হাটুর ব্যথার জন্যও ভাল। তাই প্রতিদিন নিয়ম মেনে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। 

Wednesday, November 8, 2017

পানতুমাই: বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম

পানতুমাইঃ
সিলেট জেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পানতুমাই, ভারত সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। পানতুমাই গ্রামকে বলা হয় বাংলাদেশ এর সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। যদিও অনেকে একে “পাংথুমাই” বলে, কিন্তু এর সঠিক উচ্চারণ ‘পানতুমাই’ বাংলাদেশের কোল ঘেঁষে প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোলে বাংলাদেশ পানে নেমেছে অপরূপ এক ঝরনাধারা। ঝরনাটির স্থানীয় নাম ফাটাছড়ির ঝরনা; কেউ কেউ একে ডাকেন বড়হিল ঝরনা বলে। ঝরনাটি ভারতের মধ্যে পড়লেও পিয়াইন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে দেখা যায়।

যা দেখা যাবেঃ
পাহাড় ঘেঁষা আঁকাবাঁকা রাস্তা পানতুমাই গ্রামের বৈশিষ্ট্য। গ্রামের শেষে পাহাড়ি গুহা থেকে হরিণীর মতোই লীলায়িত উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলেছে ঝরনার জলরাশি। ছিটকে পড়ে মেলে ধরছের রূপের মাধুরী। দূর থেকে দেখা মিললো শাঁ শাঁ শব্দে শুভ্র জলের এক নতুন অদ্ভুত অপ্সরীর দেখা মিলেছে। মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোলে বাংলাদেশের পানে রূপের মাধুরী ফেলেছে অপরূপা এক জলপ্রপাত। সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসছে জলরাশি। সফেদ জলধারা লেপ্টে আছে সবুজ পাহাড়ের গায়। দেখলে মনে হবে সবুজের বুকে কেউ হয়তো বিছিয়ে রেখেছে সাদা শাড়ি। পাহাড়ি স্বচ্ছ জলের ছড়া পাড়ি দিয়ে গাঁয়ের মেঠো পথ, বাঁশ বাগান, হাঁটু জলের নদী পার হয়ে প্রতাপ্পুর গ্রাম। এর পরের গ্রাম পান্তুমাই। প্রতাপ্পুর গ্রাম পাড়ি দিয়ে সামনে উঁচু পাহাড় ঘেঁষে বিশালাকার এক ফুটবল মাঠ পাওয়া যায়। মাঠ পেরিয়ে কিছুটা জঙ্গল। জঙ্গলের কিছুটা এগুলেই শোনা যায় জল গড়িয়ে পড়ার কল কল শব্দ । জঙ্গলের মাঝখানে উঁকি দিচ্ছে রূপবতী ঝরনা পান্তুমাই । বড় বড় পাথরের গা বেয়ে অনেক উঁচু থেকে ইংরেজি এস অক্ষরের মতো। স্থানীয়রা ঝরনাটিকে ফাটাছড়ির ঝরনা বা বড়হিল ঝরনাও বলেন।কিছু দূর সামনে এগিয়ে গেলে দেখা পাবেন সতর্কবাণী লেখা সাইন বোর্ড সাবধান সামনে ভারত, জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ।

যেভাবে যাবেনঃ
সিলেট শহর থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে যাওয়া যাবে পাংথুমাই পর্যন্ত। গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এ জলপ্রপাত এলাকায় মাইক্রোবাসের ভাড়া (যাওয়া ও আসা) পড়বে ২০০০ টাকা। পাংথুমাইয়ে যাওয়া যায় দুটি রাস্তায়। একটি হচ্ছে গোয়াইনঘাটের সালুটিকর হয়ে আর অন্যটি জৈন্তাপুরের সারিঘাট হয়ে। উভয় রাস্তায় দূরত্ব ও ভাড়া সমান।

.......ধন্যবাদ......